নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গল নিউজ ২৪x৭,ইটাহার :
১৮ মে, ইটাহার : বুদ্ধ পূর্নীমা তীথিতে ৪০০ বছর পূরানো ঐতিয্যবাহী সামিনাথ মেলা শুরু হলো ইটাহারে। উল্লেখ্য, তৎকালিন ইটাহার থানার চুড়ামোনের জমিদার কৃষ্ণ চন্দ্র রায়চৌধুরী সপ্নাদেশে পেয়ে সামিনাথ পূজার সূচনা করেন ইটাহার থানার দুর্গাপুর অঞ্চলের হাসুয়া গ্রামে। তারপর তার ছেলে ভূপাল চন্দ্র রায় চৌধুরি এই পূজা করেন দীর্ঘ দিন ধরে। তবে বর্তমানে জমিদারি প্রথা ও জমিদার না থাকলেও ভূপাল চন্দ্র রায় চৌধুরির ছেলে পার্থ রায় চৌধুরীরা, সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী, অভিশেখ রায় চৌধুরী সহ অনেকে এই পূজা চালিয়ে যাচ্ছেন যথাযত নিয়ম আর্চার সাথে। তবে বছরের প্রতিদিন নিয়ম মাফিক পূজা অর্চনা মন্দিরে করা হলেও বছরের বাৎশরিক পূজা প্রতিবছর বুদ্ধ পূর্নিমা তে হয়। শনিবার থেকে শুরু হল বাবা সামিনাথের বিরাট মেলা। বাবা সামীনাথের কষ্ঠি পাথরের মূর্তি সোনা ও রুপার অলঙ্কারে সুসজ্জিত করা হয় পূজার সময়। এই পূজা দিনে দিনে আরো ঐতিহ্যবাহী হয়ে ওঠায় মেলা চার দিনের পরিবর্তে চলবে আগামী দশ দিন। মেলাকে ঘিরে মেলা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন রকমারি দোকান, নাগর দোলা, যাত্রা পালা সহ মুখরচক খাবারের দোকান পাট বসে ফলে মেলা কে ঘিরে উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুর জেলা, সহ অন্যান্য জেলা ও পাশ্ববর্তী রাজ্য বিহার, বাংলাদেশ, আসাম থেকেও বহু ভক্ত আসেন পুজা দিতে ও মেলা দেখতে । জমিদার বংশের সবাই থাকেন কোলকাতাতে। পূজার আগের দিন বংশের সকলে নিজ বাসস্থান দূর্গাপুর রাজবাড়িতে এসে পূজা করে আবার বাড়ি ফিরে যান। চূড়ামনে তাদের রাজবাড়ি এখন প্রায় ধংশস্তুপ। কিন্তু দূর্গাপুরে তাদের রাজবাড়ি এখনো আছে।
মন্দিরের দীর্ঘদিনের পুরহিত প্রদীপ গাঙ্গুলী বলেন, বহু ভক্তের মনোশ কামনায় পূজো দিতে আসেন এই সামিনাথ দেবতার কাছে। তবে বেশির ভাগ লোক সন্তান লাভের জন্য আসেন ও তা পূর্নও হয় দেবতার আর্শিবাদে। তবে মেলার দেখভাল করেন পূজো কমিটির সাথে পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সেচ্ছা সেবি সংগঠন, পাশাপাশি ভূপাল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের এন সি সি র ছাত্ররা। তবে মেলা প্রাঙ্গনে সাধারন মানুষের জন্য পানীয় জলের ব্যাবস্হা করেন এলাকার ও রায়গঞ্জের অবসর প্রাপ্ত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী লোকেরা। তবে এবারেই প্রথম মেলাতে আসা সাধারন মানুষের জন্য অস্হায়ী সৌচালয়ের ব্যাবস্থা করেন রায়গঞ্জ পৌর সভার তরফে ফলে খুশি পূজা কমিটি। তবে মেলাকে ঘিরে মেলা প্রাঙ্গনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। সামি নাথের মেলাকে ঘিরে জমি দারের আত্মীয় সজনরা বাইরে থাকলেও পূজোর সময়ে দুর্গাপুর ভুপাল পুর জমি দারের আদিবারিতেই আসেন। সেই বংশ ধররায় নীয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পূজা করে আসছেন। হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে মেলা প্রাঙ্গনে। মেলা প্রাঙ্গনে পুলিশি ব্যাবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। (ছবি আছে)